ট্রাস্টি বোর্ড ও কার্যকরী পরিষদের যৌথসভার সিদ্ধান্ত ।। আরো ৩০০ কবর কিনবে বাংলাদেশ সোসাইটি
নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ড ও কার্যকরী কমিটির যৌথসভায় সোসাইটির জন্য আরো ৩০০ কবর কিনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় কমিউনিটি সেন্টার গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই প্রবাসে একটি কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা। আর সেই দাবির বাস্তবায়নে সকল প্রবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ট্রাস্টি বোর্ড ও কার্যকরী পরিষদ সক্রিয় ভূমিকা পালনের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় ট্রাস্টি বোর্ড ও কার্যকরী পরিষদের সদস্যরা সোসাইটিকে আরো গতিশীল করতে সকলে তাদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও মতামত তুলে ধরেন।
সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্তের মধ্য দিন দিন কমিউনিটি বড় হওয়ার কারনে বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি কবরের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে ক্রমাগত ভাবে তা পূরণে সোসাইটি আরো ৩০০ কবর কিনার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এছাড়া সভায় আগামি ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদায় সোসাইটির অফিসে পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
স্থানীয় সময় শনিবার বিকালে বাংলাদেশ সোসাইটির নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, দুই বারের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম. আজিজ। পরিচালনা করেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিন সিদ্দিকী। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক এম কে জামান, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম ভূঁইয়া, সাহিত্য সম্পাদক নাসির উদ্দিন, স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক আহসান হাবিব, কার্যকরী সদস্য ফারহানা চৌধুরী, মঈনুল উদ্দিন মাহবুব, আজাদ বাকির, সাদী মিন্টু ও আবুল কাশেম চৌধুরী।
ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাজী আজহারুল হক মিলন, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন, আলী ইমাম শিকদার, মফিজুর রহমান, ওয়াসি চৌধুরী, এমদাদুল হক কামাল, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল ও শরাফ সরকার।
সভায় বাংলাদেশ সেন্টার প্রতিষ্ঠাকল্পে নিজস্ব ভবন ক্রয়ের ওপর আবারও গুরুত্বারোপ করে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম. আজিজ বলেন, প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি নিজস্ব কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা। আর সেই লক্ষ্য পূরণে আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি তা বাস্তবায়নে আমাদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ বলেন, আমরা ট্রাস্টি বোর্ডের পরামর্শে কাজ করে যাবো। সবার সহযোগিতা পেলে বর্তমান কমিটির মেয়াদেই বাংলাদেশ সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ প্রবাসীদের কল্যাণে আরো অনেক কাজ করতে পারবো ইনশআল্লাহ।